ততক্ষণে অর্জুন তাঁর তপস্যা শুরু করে দিয়েছিলেন। তিনি পদ্মাসন প্রয়োগ করে এবং চোখ বন্ধ করে ধ্যান করছিলেন। চিত্রাঙ্গদা গিয়ে তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে গেলো। কিন্তু সে নিজের প্রতি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেনি। তারপর সে তার চার দিকে ঘুরলো। তারপরেও সে তার তপস্যায়ে বাধা দিতে পারেনি। দেখে মনে হচ্ছিল পাণ্ডব রাজপুত্রের চোখ খোলার কোনও ইচ্ছা নেই। চিত্রাঙ্গদা তাঁর দিকে তাকিয়ে হাসল। তারপরে সে নিজের দিকে তাকাল। সে ভাবলো কি যে পোশাক তিনি পরে আছেন, ওতে নৃত্য করতে পারে। তিনি সবে নাচ-গান শুরু করলেন। তাঁর সংগীতের যাদু এবং ঘুঙরুর মধুর আওয়াজ  শুনে অর্জুনের তপস্যা ভঙ্গ হয়ে গেলো। তিনি চোখ খুললেন এবং একজন সুন্দর নৃত্যশিল্পীর নাচ দেখে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে গেলেন। তার সৌন্দর্য দেখে তার চোখ চমকপ্রদ হয়ে গেল। কতো মনোরম ও সুন্দর ছিলেন তিনি।

"তুমি কে ?" তিনি জিজ্ঞাসা করলেন। "অপ্সরা নাকি দেবী?"

"আমি জয়া, একজন সাধারণ বনদেবী," হাসি মুখে চিত্রাঙ্গদা জবাব দিল।

"এবং আপনি কে?" তিনি দুষ্টুভাবে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন।

"আমি পাণ্ডব কুমার অর্জুন।" তিনি উত্তর দিলেন।

"আপনি সেই অর্জুন কি যে দীর্ঘ তপস্যা করার অঙ্গীকার করেছিলেন?" তিনি জ্বালাতন করার ভাবে  বললেন

"হ্যাঁ, আমি ভেবেছিলাম সারা বছর তপস্যা করব ... !!" অর্জুন জবাব দিল।

"তবে এ জাতীয় তপস্যা যোদ্ধাদের জন্য নয়, এসো আমার পাশে এসে বস আমার প্রেমিকা হও ...!" তিনি চিত্রাঙ্গদাকে আগ্রহ করলেন।

"আর্য, এ কী লজ্জার বিষয়।" চিত্রাঙ্গদা বললেন, "আপনি আমার মতো বোকা মেয়ের জন্য তপস্যা ভঙ্গ করবেন।"

অর্জুন তাকে ছেড়ে চলে যেতে চায়নি, তাই সে উঠে তার হাত ধরে নিজের কাছে টানলেন। তিনি বললেন, "আমাকে বিয়ে করো এবং আমার সাথে থাকো।"

Comments
हमारे टेलिग्राम ग्रुप से जुड़े। यहाँ आप अन्य रचनाकरों से मिल सकते है। telegram channel